অবরোধ প্রত্যাহারে খালেদাকে আল্টিমেটাম

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২২, ২০১৫ সময়ঃ ১:৫৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:১৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

oborodh 2বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও করতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধায় গুলশান-২ নম্বরে সমাবেশ করেছে  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগসহ কয়েকটি সংগঠন।

এসময় অবরোধ প্রত্যাহার করে নিতে খালেদা জিয়াকে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে  সংগঠনগুলো।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী সমাবেশে বলেন, খালেদা জিয়াকে শনিবারের মধ্যে অবরোধ-হরতাল তুলে নিতে হবে। অবরোধে গাড়িতে আগুন দিয়ে চালক-শ্রমিকদের হত্যার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।

‘তা না হলে ২৫ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করবে পরিবহন শ্রমিকরা।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, ঢাকা জেলা হিউম্যান হলার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ঢাকা জেলা ট্রাক ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, গামেন্টর্স শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কয়েকশ কর্মী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশানের ৮৬৫ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হলে পুলিশ নর্থ রোডের কাছে তাদের আটকে দেয়।

পরে তারা গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করে এবং হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান সমাবেশে বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার কার্যালয়ে বসে অবৈধ অবরোধে জ্বালাও-পোড়াওয়ের হুকুম দিচ্ছেন। উনি এই পথ থেকে সরে না এলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।’

সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের এই ঘোরাও কর্মসূচি ঘিরে সকালেই গুলশান-২ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি জলকামানের একটি গাড়িও সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়।

এদিকে ঘেরাওয়ে অংশ নিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত গাড়ি চালক সমিতি, ওলামা লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা প্রেসক্লাব থেকে কাকরাইল হয়ে গুলশানের দিকে যাওয়ার পথে মালিবাগ মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

এরপর নেতা-কর্মীরা সেখানেই বসে পড়েন এবং খালেদা জিয়া ও তার কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

গত ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করতে না পেরে খালেদা জিয়া সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন। তার মধ্যেই পুলিশের দমন-পীড়নের অভিযোগে বুধ-বৃহস্পতি ঢাকায় হরতাল করছে বিএনপি ও শরিকরা।

এই অবরোধ-হরতালে এ পর্যন্ত ছয় শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। নাশকতা ও সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন, যাদের মধ্যে অনেকেই পরিবহন চালক ও সাধারণ যাত্রী।

প্রতিক্ষণ/এডি/কেয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G